ডেস্ক নিউজ: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বাতিল করে দিয়েছে আপিল বিভাগ। এতে এই সিটিতে ভোটের বাধা কেটেছে। আগামী ২৮ জুনের মধ্যে ভোটগ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
বৃহস্পতিবার ভোট স্থগিতের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগ এই রায় দেন।
আগামী ১৫ মে খুলনার সঙ্গে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ বি এম আজহারুল হক সুরুজের এক রিট আবেদনে গত ৬ মে ভোট তিন মাসের জন্য স্থগিত হয়ে যায়।
সুরুজের দাবি তার ইউনিয়নের ছয়টি মৌজা গাজীপুর সিটি করপোরেশনে পড়েছে। এবং এতে ওই মৌজার ভোটাররা দুই এলাকার ভোটার হয়ে গেছে। তবে সুরুজের আপত্তির বিষয়টি নিয়ে পরে নানা দুর্বলতা বের হয়ে আসে।
জানা যায়, ২০১৩ সালেও বর্তমান সীমানাতেই ভোট হয়েছিল। আবার ৬ মের আগে গত ১০ এপ্রিলও বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদকে আইনজীবী নিয়োগ করে ভোট ঠেকানোর চেষ্টা করেছিলেন সুরুজ। কিন্তু তখন ব্যর্থ হলেও ৬ মে আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমানকে আইনজীবী নিয়োগ করে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসেন। পরে এও জানা যায় যে, ৬ মের রিটটি করা হয়েছিল তথ্য গোপন করে। আবার নির্বাচন কমিশনকে নোটিশ না দিয়ে শুনানি ও আদেশে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগও উঠে।
রিটকারী সুরুজ আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ায় এই বিষয়টি নিয়ে ক্ষমতাসীন দলকে আক্রমণ করে বিএনপি। সুরুজ আওয়ামী লীগের মনোনয়নবষ্ণিত আজমত উল্লাহ খানের বেয়াই এবং হাইকোর্টের আদেশ আসার পর ফেসবুকে আজমত সমর্থকদের উল্লাস প্রকাশ নিয়েও নানা কথা হয়।
তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রার্থী ওই আদেশ আসার পরপর আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকায় এসে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন। সেদিনই তিনি জানান, শেখ হাসিনা তাকে আইনি লড়াইয়ে নামতে বলেছেন।
গত ৭ মে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে প্রথম আপিল করেন বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার। একই দিন উচ্চ আদালতে আপিলের প্রস্তুতি গ্রহণ করেও জমা দিতে পারেননি জাহাঙ্গীর। পরদিন তিনি তা জমা দেন। একই দিন চেম্বার বিচারপতি শুনানি করে ৯ মে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে বিষয়টি পাঠান। আর সেদিন নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী জানান, তারাও আপিল করবেন। এ কারণে বুধবার এক সঙ্গে তিনটি আপিলের শুনানির দিন ঠিক হয়।